মৌসুমেও সবজির দাম উর্ধ্বমুখী কক্সবাজারে

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল •


শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুম, তারপরও বাজারে সবজির দাম চড়া। প্রতিবেদক এর কারণ খোঁজতে গেলে বিক্রেতারা বলেন, একদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্যাপক চাহিদা এবং অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে সবজির ফলন না হওয়ায় দাম এখনো উর্ধ্বমুখী। কিন্তু সবজির দাম কবে কমবে তাও জানে না বিক্রেতারা। তবে ক্রেতারা বলেছেন, সবজির বাজারে নেই প্রশাসনের কোন তদারকি। তাই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবজির দামে কমাচ্ছে না। এভাবে সবজির দাম চড়া দামে বিক্রি হয়ে থাকলে মধ্যবিত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষের কষ্টের সীমা থাকছে না। দৈনিক আয় দিয়ে চাল ক্রয় করে সবজির কিনতে গেলেও তাদের মাথা ঠিক থাকেনা এমন অবস্থা কক্সবাজার শহরের নিরীহ মানুষের।

সরকারি সিদ্ধান্তকে কোন ধরণের তোয়াক্কা না করে কক্সবাজার কাঁচাবাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলুসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের জিনিসের দাম। এখনও লাগামহীন প্রায় সব ধরনের শাকসবজির দাম। বর্তমানে কেজিতে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজিও মিলছে না বাজারে। চালের চেয়ে সবজির দাম বাড়তি। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে সরবরাহ সংকট হলেও খুচরা বিক্রেতাদের দাবি সংকট আরো বাড়াচ্ছে আড়তদারদের সিন্ডিকেট। অন্যদিকে, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের তাল মেলাতে না পেরে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।

অথচ বাজারে থরে থরে সাজানো সবজি, কিনতে গেলে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না। দেখেই বোঝাই যায় বাজারে সবজির কোনো সংকট নেই। অথচ রোহিঙ্গা, বন্যা, বৃষ্টির কারণে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে কক্সবাজারে প্রতিদিনই বাড়ছে সবজির দাম।

সরকারি নির্দেশনা না মেনেই ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোহিঙ্গাসহ নানা সমস্যার কারণে মৌসুমেও সবজির দাম চড়া। তাদের অভিযোগ, আড়তদারদের সিন্ডিকেটের কারণেই বাজার অতিরিক্ত চড়া।

একজন বিক্রেতা বলেন, ‘সবজি যেখানে আসে ৬ গাড়ি, সেখানে দুই গাড়ি আড়তে নিয়ে আসে, দুই গাড়ি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যায় আর দুই গাড়ি মজুত করে রাখে। এখানে সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে প্রতি কেজিতে দশ থেকে বিশ টাকা বেড়ে যায় দাম।

এদিকে, আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাজার করতে পারছেন না ক্রেতারা। তাই বাজারের পরিমাণ আর খাবারের চাহিদা কমিয়ে আনতে হচ্ছে। আবারো তাদের আহŸান খুচরা আর পাইকারি বাজারে সমন্বিত তদারকির।

গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির মৌসুম অথচ বিক্রি করছে চড়া দামে। আলু প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা, বরবটি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, তিতকরলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১১০ টাকা, কচুরমূখী ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, সিম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন বলেন, জনস্বার্থে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত আছে। যেকোন মুহুর্তে বাজার তদারকি করা হবে।